Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৩ আগস্ট ২০২৪ ১৯ : ২৪Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: ২০১৮-এ মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মারা যান শ্রীদেবী। আজও প্রয়াত অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা অটুট তাঁর ভক্তদের মধ্যে। বলা ভাল, বিভিন্ন বয়সী ভক্তদের মধ্যে। ১৯৬৩-এর ১৩ আগস্ট তামিলনাড়ুর মিনোমপট্টি গ্রামে জন্মান শ্রীদেবী। অভিনেত্রীর আসল নাম ছিল শ্রী আম্মা ইয়াঙ্গার অয়াপ্পন। পরবর্তী সময়ে শ্রীদেবী নাম যখন তিনি আসমুদ্রহিমাচল ভারত কাঁপাচ্ছেন তখন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের তালিকার একেবারে প্রথম দিকে ছিলেন দুই দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত এবং কমল হাসন। এবং জনপ্রিয় দক্ষিণী পরিচালক কে বালাচন্দ্র। তবে জানেন কি এঁদের মধ্যে রজনীকান্ত অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন শ্রীদেবীর। এমনকি তাঁকে নাকি বিয়েও করতে চেয়েছিলেন!

১৯৭৬ সালে 'মুন্দ্রু মুদিচু' ছবিতে প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করেন রজনী ও শ্রী। ধীরে ধীরে তাঁদের আলাপ পরিণত হয় বন্ধুত্বে। শোনা যায়, সেই বন্ধুত্ব নাকি পরিণত হয়েছিল ভালবাসায়। তামিল, তেলেগু, কন্নড় এবং হিন্দি মিলিয়ে রজনী এবং শ্রী জুটি বেঁধে ১৯টি ছবিতে কাজ করেছিলেন। শ্রীদেবীর মায়ের সঙ্গেও নাকি রজনীর মিষ্টি সম্পর্ক ছিল। শোনা যায়, শ্রীদেবীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন রজনীকান্ত। অভিনেত্রীর মায়ের কাছে নিজে থেকে সেই প্রস্তাবও দিয়েছিলেন 'থালাইভা'। এ প্রসঙ্গে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে কে বালাচন্দ্র দাবি করেছিলেন, শ্রীদেবীর নবনির্মাণ বাড়িতে গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন রজনী। সবশেষে যখন শ্রী ও 'থালাইভা' যখন একসঙ্গে নতুন বাড়িতে পা রাখেন তখনই নিভে যায় সব আলো। লোডশেডিং। বিষয়টি ভাল লাগেনি রজনীর। মনে কুডাক নাকি ডেকেছিল তাঁর। ইন্ডাস্ট্রিতে কান পাতলে শোনা যায়, এরপরেই নাকি সেই সম্পর্ক থেকে নিজেকে ধীরে ধীরে সরিয়ে নিয়েছিলেন রজনীকান্ত।

তবে শেষদিন পর্যন্ত 'রোবট'-এর নায়কের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট ছিল শ্রীদেবীর। ‘রাণা’ ছবির শুটিংয়ের সময় যখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রজনী তখন তাঁর সুস্থতা কামনায় ব্রত রেখেছিলেন শ্রীদেবী। করেছিলেন উপোসও।